ভারতে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সে দেশে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মগবাজারের টিকটক হৃদয় বাবুসহ ৪ জনকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতে হাতিরঝিল থানার ওসি অপারেশন মো. গোলাম আযম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মানব পাচার ও প্রতিরোধ আইনে একজন ভুক্তভোগী তার কিশোরী মেয়েকে পাচারের অভিযোগে মামলা করেছেন। তদন্ত পূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
ভুক্তভোগি ওই কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ করেন, অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামির সহযোগিতায় টিকটক হৃদয় বাবু তার কিশোরী মেয়েকে ভারত পাচার করে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সিদ্দিক মাস্টারের ঢালের একটি বাসায় ২ মেয়ে, ১ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। বড় মেয়ে বিজিপ্রেস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
করোনা মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সে মাঝেমধ্যে তার মা ও ছোট বোনকে নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরতে যেতো। সেখানে কয়েকজন ছেলেমেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে মগবাজারের হৃদয় বাবু নামে একটি ছেলে ছিল। সে আরও কয়েকজন ছেলে-মেয়েসহ টিকটক শুটিং করতো। বিষয়টি জানার পর মেয়েকে বারণ করা হয়।
গত ১৭ মার্চ আনুমানিক বিকেল ৫ টার দিকে আমার মেয়ে ৩০ মিনিট হাতিরঝিলে ঘুরে আসবে বলে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ফিরে না আসায় নিকট স্বজন ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজখবর করি। তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া পালিয়ে আসা এক কিশোরীর নির্যাতনের বর্ণনা তিনি শোনেন। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে পাচার হওয়া কিশোরীর বাবা ও মামলার বাদি যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে পালিয়ে আসা কিশোরী পাচার হওয়া কিশোরীর ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করে। ওই কিশোরী ভারতের আনন্দপুরের একটি বাসায় দেখেছে বলে পাচার হওয়া কিশোরীর বাবাকে নিশ্চিত করে।
এদিকে মামলায় টিকটক হৃদয় বাবুসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হলেও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে এক বাংলাদেশীকে তরুণীকে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরাল খবরপর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬টি মানব পাচার ও প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। এসব মামলার প্রধান আসামি ভারতের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া টিকটক হৃদয় বাবু।