মাসে আয় প্রায় এক লাখ টাকা। ফ্ল্যাট রয়েছে মুম্বাই, পুনের মতো এলাকায়। যারা বাজারমূল্য বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দু’কোটি টাকা অন্তত। কিন্তু মালিকের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। অবাক করে এই ঘটনা অবাক করে দিয়েছে সকলকে।
মুম্বাইয়ের ভরত জৈন এমনই একজন কোটিপতি ভিক্ষুক। রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক বলা হয়।
মুম্বাই ও পুনেতে কোটি টাকার বাড়ি ও দোকানের মালিক তিনি। এগুলির বাজারমূল্য দুই কোটি টাকার ওপরে। তার সন্তানদের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ান।
ভারত জৈন বিবাহিত। বাড়িতে তার স্ত্রী, দুই ছেলে, এক ভাই এবং তার বাবার সাথে বসবাস করেন। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ভিক্ষা করে দৈনিক তিনি হাজার তিনেক টাকা আয় করেন। মাসের হিসাবে সেই টাকা ৯০ হাজার টাকা। কোনো কোনো দিন বেশিও হয়। কমও হয়। ফলে মাস শেষে লাখ টাকার মতো হয়ে যায় আয়।
২০২০ সালে তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর তিনি ভিক্ষা করে মোট আয় করেছিলেন ১০ লাখ টাকা। একজন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষও প্রতিদিন এতটা রোজগার করতে পারে না, একজন ছোট দোকানদারও প্রতিদিন এতটা সঞ্চয় করতে পারে না।
মুম্বাই, পুনে ছাড়াও মহারাষ্ট্রের থানেতে তার দুটি দোকান রয়েছে। ওই দোকান থেকে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। তার পরিবার একটি স্টেশনারি দোকান চালান, যেখান থেকেও কিছু আয়ও হয়।
সামগ্রিকভাবে রিপোর্ট অনুযায়ী ভিক্ষুক ভারত জৈনের মোট সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। তিনি সাধারণত মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং আজাদ ময়দান এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
তবে শুধু ভারতই নন, ভারতে অনেক কোটিপতি ভিক্ষুক রয়েছেন। কলকাতার বাসিন্দা লক্ষ্মী ১৬ বছর বয়স থেকে ভিক্ষুকের কাজ করেন। তখন থেকেই তিনি ভিক্ষা করে লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা গীতা চার্নি রোডে ভিক্ষা করেন। তার নিজের একটি ফ্ল্যাট আছে, যেখানে তিনি ভাইয়ের সাথে থাকেন। ভিক্ষা করে দিনে প্রায় ২০০০ টাকা আয় করেন গীতা।