চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকে দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে বেশ কিছু ইস্যুতে আশাবাঞ্চক আলোচনাও হয়। কিন্তু বৈঠক শেষ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্টকে আবারও ‘স্বৈরশাসক’ বলে চিহ্নিত করেন। ফলে বৈঠকের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে এমন আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেনের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাইডেনকে দায়িত্বজ্ঞানশূন্য বলে আখ্যায়িত করেছে। সান ফ্রান্সিসকোতে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, শি জিনপিং এমন একটি দেশ পরিচালনা করেন, যা একটি কমিউনিস্ট দেশ। ওই দেশের সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক। এর আগে চলতি বছরের জুন মাসেও জিনপিংকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি আশা করেন চীন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না।
আর এ বিষয়ে তিনি শি-কে বলেছেন।
তবে শি জিনপিংকে স্বৈরশাসক বলায় বাইডেনের সমালোচনা করতে ছাড়েনি চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বাইডেন যা বলেছেন তা পুরোপুরি ভুল। বেইজিং বাইডেনের এমন দায়িত্বজ্ঞানশূন্য ‘রাজনৈতিক কারসাজির’ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে এভাবে বিভেদ তৈরির চেষ্টার নিন্দা জানান মাও নিং।