২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
বর্তমানে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা কত তা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
সেখানে জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন গ্রামে বসবাস করেন। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১১৯ করে বাস করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি। পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন। নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। ভাসমান জনসংখ্যা আছে ২২ হাজার ১৮৫ জন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ১১ বছরে সিটি করপোরেশন এলাকায় জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন রয়েছে।
দেশে কাঁচা ঘর ৬৬.১৯ শতাংশ থেকে ৫৮.৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে বলে পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হয়েছে। আর পাকা ঘর ১১.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২.৪৬ শতাংশ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি আছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয় সংস্থাটি। পরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে আরও একটি প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬।