আলোচিত সাইফার মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। জামিন পেয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শাহ মেহমুদ কুরেশীও। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন মামলার বিচার নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে শুক্রবার তাদের জামিন দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে জানানো হয়, জামিন পেলেও ইমরানকে মুক্তি দেয়া হবে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ অন্য কয়েকটি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। তার আইনজীবী সালমান সাফদারও এ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন। এই দুই শীর্ষ নেতাকে ১০ লাখ রুপি জামানত জমা দেওয়ার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার পিটিআই পিটিশনের শুনানির পর বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ যুগান্তকারী বায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ এবং সৈয়দ মনসুর আলী শাহ।
বর্তমানে পিটিআই দলের প্রধান দুই নেতা ইমরান ও কুরেশী রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন। গত আগস্ট মাস থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই বার্তা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ইমরানের দাবি, ওই তারবার্তা গণমাধ্যমে এসেছিল অন্য সূত্র থেকে। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন।
ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক তারবার্তার কথা উল্লেখ করে তখন তিনি বলেছিলেন, যে বার্তা ফাঁসের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, সেটিই প্রমাণ করছে যে, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। কারণ, তিনি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়ায় সফর করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী উভয়ই ইমরানের এমন দাবি অস্বীকার করেছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং তোষাখানা দুর্নীতি মামলাসহ আরও কয়েক ডজন মামলা আছে। এসব মামলা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ ইমরানের।