ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকেই কমবেশি ভালবাসেন। তবে কারও কারও কাছে বেশি জনপ্রিয় ভাজা ডিম। ভেজে বা অমলেট বানিয়ে ডিম খেতেই যেন পরম তৃপ্তি পান অনেকে।
তবে অমলেটের কী কী গুণ আছে? ডিমের মধ্যে যা যা গুণ রয়েছে, তা কি অমলেটেও আছে? না কি অমলেটে কিছু বেশি গুণ আছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ এর সমৃদ্ধ উৎস অমলেট। বর্তমানে ফোন, ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে যারা বেশি সময় কাটান তারা ড্রাই আইজের সমস্যায় বেশি ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন এ।
ওজন কমায়
ওজন কমাত সাহায্য করে অমলেট। কারণ এটি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনে ভরপুর। আর প্রোটিন পেট অনেকটা সময় ভরিয়ে রাখে। ফলে খিদে কম পায়। যা ওজন কমাতে সহায়ক।
মনোসংযোগ বাড়ায়
মনোসংযোগের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কাজ করতে বসলে বারবার নানা চিন্তা মাথায় আসে। এমনকি অল্প কিছু ঘটলেই মন কাজ থেকে সরে যায়। এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অমলেট।
ক্লান্তি দূর করে
ঘন ঘন ক্লান্ত লাগে। কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকে। এর কারণ আয়রনের অভাব। অমলেটের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ অনেকটা। যা শরীরে অক্সিজেন ঠিকমতো পরিবহন করে। এর ফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা কেটে যায়।
ডিম ভিটামিন বি১ এর সমৃদ্ধ উৎস। এটি স্নায়ুকে রক্ষা করে। পাশাপাশি মেটাবলিক হার উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি১ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য বিশেষ ভাবে জরুরি।
প্রদাহ কমায়
অমলেটের মধ্যে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন নামের দুটি উপাদান আছে। এই উপাদান দুটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি। অর্থাৎ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সেদ্ধ ডিম না অমলেট?
ডিমের যা যা গুণ, তার প্রায় সবকটাই পাওয়া যায় অমলেটে। তবে তফাত কিছু আছে। আর সেই জন্যই এ দুটোর মধ্যে একটিকে পরিস্থিতি বুঝে বেছে নিতে হবে।
সেদ্ধ ডিমে ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফলে এটি ওজন কমাতে বেশি সাহায্য করে। অন্যদিকে অমলেট তেলে ভাজা হয়। ফলে কিছুটা হলেও ক্যালোরি বেশি থাকে এতে। তাই ওজন কমানোর জন্য পাতে ডিম রাখলে সেদ্ধটাই বেশি উপকারী।
সূত্র: এবিপি লাইভ