মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বহু সেনা হতাহত হওয়ায় ঘাটতি পূরণ করতে চাইছে জান্তা। ফলে বাধ্যতামূলকভাবে যুবক ও কম বয়সী নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ আইন বলবৎ করার পর থেকেই মূলত ধরপাকড় বেড়েছে বিভিন্ন শহরে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালের বাসিন্দারা বলছেন, জান্তা গত ২০ দিনে কয়েক হাজার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক অতিথিকে ধরে নেওয়ার পর টাকা আদায় করে ছেড়ে দিচ্ছে। খবর ইরাবতীর
মান্দালে ছয়টি অঞ্চলে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ৮০ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আগে দিনে হলেও এখন তা করা হচ্ছে রাতে। জান্তা সেনা, পুলিশ, ওয়ার্ড প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র সদস্যদের সম্মিলিত বাহিনী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মান্দালেতে এ অভিযান চালাচ্ছে। তারা বেড়াতে আসা অতিথিদের তথ্য চাচ্ছে।
মান্দালের সাবেক এক রাজনৈতিক বন্দি বলেন, এই ধরপাকড় মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। জান্তা সেনারা রাতে অতিথির তথ্য নিবন্ধনের অজুহাতে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। অর্থ আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত সোমবার সাগাইং অঞ্চলের কালে শহরে চলা সপ্তাহব্যাপী লড়াই পৌঁছে গেছে স্থানীয় কালে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে জান্তাবাহিনী বিমান হামলার পর ৫০০ ছাত্র, প্রভাষক এবং কর্মচারীর মধ্যে ১৪০ জনকে উদ্ধার করেছে প্রতিরোধ বাহিনী। অবশ্য জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুনের দাবি, প্রায় ১০০ পিডিএফ সেনা ক্যাম্পাসে ঢুকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এরই মধ্যে ২৮৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে তিন দিনের যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির হামলায় অন্তত ৮০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। গত শনিবারই তাদের সামরিক হেলিকপ্টারে সেখানে পাঠানো হয়েছিল।