কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে–ততই প্রচারণার গতি বাড়ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিরামহীনভাবে ছুটছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। গণসংযোগ–উঠান বৈঠকসহ লিফলেট বিতরণ করে ভোট চাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার সকালে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ সুজানগর এলাকা থেকে গণসংযোগ করেন বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা। তিনি ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং বাস প্রতীকে ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাবা এমপি হওয়ার সুবাদে আমি সব সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিলাম এবং কাজ করেছি। বিশেষ করে নারীদের পাশে ছিলাম। গণসংযোগে আমাকে কাছে পেয়ে তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রার্থী শুধু অভিযোগে ব্যস্ত থাকেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশে রাখার জন্য এ ধরনের আচরণ নির্বাচনের শৃঙ্খলা বিরোধী। প্রার্থীদের উচিত নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কথা বলা এবং সেভাবে কাজ করা।’
নগরীর ঠাকুরপাড়া, বাগানবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন হাতি প্রতীকের নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। এ সময় তিনি বলেন, ‘সদর আসনের সংসদ সদস্য তার মেয়ের পক্ষে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ থাকবে না।’
নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজাবাদ এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য বিভিন্ন স্থানে সংবর্ধনার নামে মেয়ের পক্ষে শো-ডাউন করছেন। বিভিন্ন স্থানে প্রভার বিস্তার করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় নির্বাচন কমিশন দায়সারাভাবে সভা করে গেছেন। আমাদের অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে কমিশন থেকে ব্যাপক প্রচারণা করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
এ ছাড়া নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর এলাকা থেকে গণসংযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের জন্য মানুষের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ার ঘোড়া প্রতীকের জোয়ার। খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও বিএনপিকে রক্ষার গণজোয়ার।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনের ২৭টি ওয়ার্ডে আগামী ৯ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে। এর ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।