Thursday, September 19, 2024
spot_img
Homeবিশ্বগাজায় ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে দিয়েছে ইসরায়েল

গাজায় ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে দিয়েছে ইসরায়েল

গাজার উত্তরাঞ্চলের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম গতকাল মঙ্গলবার ক্ষুধায় জর্জরিত অঞ্চলটিতে খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা চালায় ডব্লিউএফপি।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি জানায়, খাদ্য সরবরাহের ১৪টি লরি চেক পয়েন্টে আটকে দেওয়া হয়। পরে ক্ষুধায় মরিয়া জনগণ লরিগুলোকে লুট করে।

উত্তর গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মন্তব্যের পরদিনই এ ঘটনা ঘটল বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি বলে, গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকায় ‘নিদারুণভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের’ প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু হলেও তা ব্যর্থ হয়। ওয়াদি গাজা চেক পয়েন্টে তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করার পর আইডিএফ ত্রাণবাহী গাড়িবহরকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

সংস্থাটি আরও বলে, চেকপয়েন্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়ায় ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ক্ষুধায় মরিয়া বিশাল মানুষের ভিড় গাড়িগুলোকে আটকে ফেলে। তারা ট্রাকগুলো থেকে প্রায় ২০০ টন খাবার লুট করে নেয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটি গাজায় খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় ডব্লিউএফপির গাড়িবহরগুলো হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছিল।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গাজার পশ্চিমে ইসরায়েলি বাহিনীর পাহারায় বেসরকারি ঠিকাদারদের পরিচালিত একটি ত্রাণ বহরের কাছে পৌঁছানোর জন্য জনতা ছুটে গেলে তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েল। এতে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১১২ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, নিহতের বেশির ভাগই পদদলিত হয়ে এবং ত্রাণবাহী ট্রাকের চাপায় মারা গেছে। তারা আরও দাবি করে, তাদের দিকে তেড়ে আসা ও যাদের হুমকি মনে হয়েছে তাদের ওপর গুলি করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ডব্লিউএফপির উপনির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলুকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত রাখার অন্যতম কারণ ছিল এ ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ কর্মসূচি স্থগিত রাখার জন্য সবাই আমাদের সমালোচনা করছিল। কিন্তু আমরা স্থগিত করেছি কারণ দুদিন আগে যা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম; আমরা ফেরার উপায় খুঁজছি।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জর্ডানের সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমানযোগে ৩৬ হাজারটি খাবারের প্যাকেট পাঠিয়েছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। গত রোববার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহে হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানির অভাবে ষোলোতম শিশুর মৃত্যু হয়।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments