রেড বুল অ্যারেনায় রিয়াল মাদ্রিদের জেতার জন্য কী করেনি আরবি লাইপজিগ! সবই করেছে। বল পজেশনে রিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে। গোলে রিয়ালের ৩ শটের বিপরীতে লাইপজিগ শট নিয়েছে ৯ টি, যা নকআউট পর্বে লাইপজিগের সর্বোচ্চ। ২০২২ ফাইনালের পর রিয়ালের গোলে যা যে কোনো দলের সর্বোচ্চও। তারপরও ঘরের মাঠে জিততে পারেনি লাইপজিগ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছে লাইপজিগ। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আজ আবারও মুখোমুখি তারা। ঘরের মাঠে এত চেষ্টার পরও যখন সফল হতে পারেনি, আজ কী সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে হাসি মুখে ফিরতে পারবে তারা!
টুর্নামেন্টে দুই দলের পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম লাইপজিগের। নকআউট পর্বের সর্বশেষ ৬ ম্যাচের কোনোটিতে জিততে পারেনি তারা। অন্যদিকে প্রথম লেগের জয়ের পর সবশেষ ২০ নক আউট পর্বে মাত্র একবারই হেরেছে রিয়াল। আয়াক্সের কাছে সেই হারের বয়সও ৫ বছর হয়ে গেছে। ঘরের মাঠে আবার প্রথম লেগে না খেলা জুড বেলিংহামকে আজ রাতে পাচ্ছে রিয়াল। প্রতিপক্ষের মাঠে তাই জয় নিয়ে শেষ আটে যাওয়াটা কঠিন লাইপজিগের।
তবে লাইপজিগ আশাবাদী হতে পারে রিয়ালের কাছে তাদের পরাজয়টা ১-০ ব্যবধানের হওয়া। ব্যবধানের বিষয়টি মাথায় রেখেই রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা খুব বেশি সুবিধা নিয়ে নামছি না। ফলে শুরুর মিনিট থেকেই আমাদের সেরা ছন্দে থাকতে হবে।’ রিয়াল জিতলে এক মৌসুমে টানা ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়বে। আনচেলত্তির অধীনেই ২০১৪-১৫ মৌসুমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বে টানা ৭ ম্যাচ জিতেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
দিনের আরেক ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি হবে কোপেনহেগেনের। যারা প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-১ গোলে জিতে এসেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে জয় পাওয়ার পর সবশেষ নকআউট পর্বের ৯ ম্যাচে হারের রেকর্ড নেই পেপ গার্দিওলার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তো সিটি ১৯ ম্যাচেই অপরাজিত। তাই তো ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট অপ্টার সুপার কম্পিউটার জানিয়েছে, সিটির বিপক্ষে কখনো জয় না পাওয়া কোপেনহেগেনের (৫) শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ২ শতাংশ।