জেতা দূরে থাক, ইন্টার মায়ামিকে চোখ রাঙাচ্ছিল নিশ্চিত পরাজয়। তবে যে মায়ামিতে আছেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের মতো তারকারা, সেই দল কি হাল ছেড়ে দেবে? কেউ না কেউ মায়ামির শেষ মুহূর্তে উদ্ধারকর্তা হিসেবে কাজ করেই যাচ্ছেন। এবার দলটির উদ্ধারকর্তা হিসেবে কাজ করলেন সুয়ারেজ।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে প্রথম লেগে আজ মুখোমুখি হয়েছে ন্যাশভিল ও মায়ামি। এই ম্যাচের আগে ন্যাশভিল থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, যাতে গিওদিস পার্ক স্টেডিয়ামের এক অংশে মায়ামির জার্সি পরে কেউ ঢুকতে না পারেন। তবু গিওদিস পার্কে ম্যাচটি ছিল নাটকীয়কতায় পূর্ণ। মাঠের লড়াইয়ে দাপট দেখিয়ে খেলে মায়ামি। ৭১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর করে ৬টি শট। অন্যদিকে বাতিল হয়ে যায় ন্যাশভিলের গোল। শেষ পর্যন্ত ন্যাশভিল-মায়ামি ম্যাচ ড্র হয় ২-২ গোলে।
ম্যাচে অবশ্য শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ৪ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্য ভেদ করেন ন্যাশভিল স্ট্রাইকার জ্যাকব শ্যাফেলবার্গ। ন্যাশভিলের এগিয়ে যাওয়ার গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন শাক মুর। এরপর ১৩ মিনিটেই সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মায়ামি। নোয়া অ্যালেনের পাস থেকে বরাবরের মতো বাঁ পায়েই শট নেন মেসি। তবে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার এবার লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ১৮ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ন্যাশভিল। তবে শ্যাফেলবার্গের ক্রস থেকে পাওয়া ক্রসে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি ন্যাশফিল ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স মুইল। এরপর ২৩ মিনিটে ন্যাশভিলকে আরও একটু এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যানি মুখতার। তবে সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছেন মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার।
আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণের খেলায় মায়ামিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান মেসিই। তবে ৩৭ মিনিটে তাঁর (মেসি) আক্রমণ প্রতিহত করেছেন ন্যাশভিল গোলরক্ষক জো উইলিস। এরপর ৪৫ মিনিটে মায়ামিকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পান ফেদেরিকো রেদোন্দো। এবার তাঁর মাথা ছোঁয়ানো শট প্রতিহত করেন ন্যাশভিল গোলরক্ষক উইলিস। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে ন্যাশভিল।