২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর—আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখেরও বেশি দর্শকের সামনে ভারতকে কাঁদতে হয় শিরোপাভঙ্গের বেদনায়। পরাজিত ভারতের দলে ছিলেন মোহাম্মদ শামি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, পেশাদার ক্রিকেটে এটাই শামির সর্বশেষ কোনো ম্যাচ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে দরজায় কড়া নাড়ছে আরও এক আইসিসি ইভেন্ট। এ বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের টুর্নামেন্টের যখন বাকি আড়াই মাসের মতো, তখন শামিকে নিয়ে যেন একপ্রকার দুঃসংবাদই দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। জয় শাহর মতে, প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে শামির ফেরার সম্ভাবনা সেপ্টেম্বরে। জয় শাহ বলেন, ‘শামির অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে। সে এখন ভারতে। শামি সম্ভবত ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ফিরছে।’ সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে সময় দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-ভারত।
গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার শামি করিয়েছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে। তখনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে তার ফেরাটা একটু দীর্ঘতরই হবে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার কয়েকটি ছবি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় পেসার তখন লিখেছিলেন, ‘মাত্রই গোড়ালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে টেন্ডন অ্যাকিলিসে। সুস্থ হতে কিছু সময় লাগবে। তবে শিগগিরই নিজের পায়ে দাঁড়াতে উন্মুখ আছি আমি। সকলকে ভালোবাসা।’
২০২৩ বিশ্বকাপ শামির কেটেছিল স্বপ্নের মতো। ৭ ম্যাচে ৫.২৬ ইকোনমিতে ২৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে যান তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৫৭ রানে নেন ৭ উইকেট, যা এখনো পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং। আরেকটি আইসিসি ইভেন্টে তাঁর মতো বোলারকে না পাওয়ার আক্ষেপ হয়তো ভারতকে এবার পোড়াবে।