রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট শুধু রুল জারি করেছেন। কোনো নির্দেশনা দেননি। যারা আইন অনুযায়ী হোটেল–রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছে তাদের যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হয় সেই মর্মে রুল জারি করেছেন। সেই সঙ্গে এগুলোতে ভাঙচুর না চালাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন।
আদেশের পর আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি সব জায়গায়ই হতে পারে। থানায় আগুন লেগেছে বলে থানা বন্ধ করা যাবে না, হাসপাতালে আগুন লেগেছে বলে হাসপাতাল বন্ধ করা সমীচীন না। রেস্টুরেন্ট খাত থেকে সরকার বছরে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা পায়। এই ব্যবসায় ৪৫ লাখ লোক সরাসরি সম্পৃক্ত। খুব সাবধানতার সঙ্গে যদি এটি না দেখা হয় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে এবং বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হবে। আদালত বলেছেন, নোটিশ না করে যে ভাঙচুর করা হচ্ছে সেটা যেন বন্ধ হয়।