গাজীপুরের কালিয়াকৈরের টপস্টার এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ ৩৪ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়ে। এর মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৫ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিরাও শংঙ্কামুক্ত না।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক হোসাইন ইমাম ইমু আজ বুধবার রাতে এতথ্য জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সোলাইমান মোল্লার (৪৫) ৯৫ শতাংশ, মোতালেব হোসেনের (৪৮) ৯৫ শতাংশ, মহিদুলের (২৫) ৯৫ শতাংশ, গোলাম রাব্বীর (১৩) ৯০ শতাংশ, নার্গিসের (২৫) ৯০ শতাংশ, ইয়াছিন আরাফাতের (২১) ৮৫ শতাংশ, লাদেনের (২২) ৮৫ শতাংশ, তায়েবার (৩) ৮০ শতাংশ, মো. সোলাইমানের (৬) ৮০ শতাংশ, আব্দুল কুদ্দুসের (৪৫) ৮০ শতাংশ, কোমেলা খাতুনের (৮০) ৮০ শতাংশ, নিলয় (১০) ৮ শতাংশ, মো. আরিফের (৪০) ৭০ শতাংশ, জহুরুল ইসলাম কুটির (৩২) ৫৮ শতাংশ, মশিউরের (২২) ৫২ শতাংশ, সাদিয়া খাতুনের (১৮) ৫ শতাংশ, নুরনবীর (৫) ৫ শতাংশ, কবির হোসেনের (৩০) ৪৫ শতাংশ, মুন্নাফের (১৮) ৪০ শতাংশ, মো. নাঈমের (১৩) ৪০ শতাংশ, লালনের (২৪) ৪০ শতাংশ, নিরবের (৭) ৩২ শতাংশ, রামিছার (৩৬) ৩ শতাংশ, আজিজুলের (২৪) ৩ শতাংশ, শিল্পির (৪৫) ২৫ শতাংশ, সুমনের (২৫) ২৫ শতাংশ, তারেক রহমানের (১৮) ২০ শতাংশ, মিরাজের (১৩) ১৫ শতাংশ, মনসুরের (৩০) ১০০ শতাংশ, সুফিয়ার (৯) ১০ শতাংশ, শারমিনের (১১) ১০ শতাংশ, রাহিমার (১০) ১০ শতাংশ ও রতনার (৪০) ১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক হোসাইন ইমাম ইমু বলেন, ‘গাজীপুর থেকে নারী শিশুসহ ৩৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে আসছে। তাদের মধ্যে ১৬ অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থাও শংঙ্কামুক্ত না। এদের মধ্যে ৫ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’
গাজিপুর থেকে আসা মো. আকাশ খান বলেন, বিকেলে ওই এলাকার শফিক নামে এক ব্যক্তি রান্নার জন্য বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসে। কিন্তু চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস লিকেজ হয়ে গ্যাস বেরুতে থাকে। তখন শফিক গ্যাস সিলিন্ডার রাস্তায় রেখে যায়। তখন এলাকার মহিলা, পুরুষ, শিশুসহ সবাই সিলিন্ডার দেখতে ভিড় করের। অনেকেই বাসার গেট থেকে দেখতে থাকে। কিছুক্ষণ পর সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। এতে সবাই দগ্ধ হয়।