গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহতের নাম মুনসুর (৪৫)। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুজনে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মুনসুরের শরীরে ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বাকি সবাই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের অবস্থায় আশংকাজনক। তাদের ১৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ রয়েছে।
নিহত মুনসুরের ভাই বলেন, আমার ভাই কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে
এর আগে ১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে কমপক্ষে দগ্ধ হন ৩৫ জন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি এটি রাস্তায় ফেলে দেন। এসময় সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাস্তায় থাকা প্রায় ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়
তাদের মধ্যে ৩২ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ভর্তি রোগীদের অন্তত ১৬ জনের শতকরা ৮০ শতাংশ দগ্ধ।