Monday, September 16, 2024
spot_img
Homeজাতীয়সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘খণ্ডিত’ সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘খণ্ডিত’ সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘খণ্ডিত’ সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।

আটক দুইজনকে কুমিল্লায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।

অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে তথ্যগুলো এসেছে। এর খণ্ডিত অংশের সত্যতা হয়তো আছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ, একেবারে যেভাবে কথাগুলো এসেছে সবগুলো যে মিলে গেছে, সেভাবে বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে সত্যতা আছে বলেই আমাদের কাছে মনে হয়েছে।

এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের যতটুকু কাজ ছিল সেটুকু আমরা করে দিয়েছি, এখন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গতকাল (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম একটি মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে অবন্তিকার মা উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায়, তার ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তার চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন দুজনকে। তারা হলেন, সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments