Sunday, September 8, 2024
spot_img
Homeবিশ্বগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১৬৫ দিনে নিহত ৩২ হাজার

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১৬৫ দিনে নিহত ৩২ হাজার

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৬৫ দিন। এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজারে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩১ হাজার ৯২৩ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৪ হাজার ৯৬ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৩ হাজারেরও বেশি শিশু এবং ৮ হাজার ৪০০ জন নারী। তবে টিআরটি ওয়ার্ল্ডসহ তুরস্কের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুর সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি হামলায় আহত ৭৪ হাজারের মধ্যে ৮ হাজার ৪০০-এর বেশি শিশু এবং নারী ৬ হাজার ৩২৭ জন। এ ছাড়া, এখনো ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিখোঁজ। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪৩৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১১৬ জনই শিশু। এই সময়ে অঞ্চলটিতে আহত হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ জন।

অন্যদিকে, তীব্র খাদ্যসংকটের কারণে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের অবস্থা ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় অঞ্চলটিতে গণমৃত্যু অত্যাসন্ন। জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড-সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ ভয়াবহ মাত্রায় খাদ্যসংকটে ভুগছে। সাধারণত, কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে ভুগলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলা হয়। আর এখানে সেই সর্বনিম্ন বিন্দুর তিন গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্যসংকটে আছে।

আইপিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য নেই। তবে সংস্থাটির অনুমান, খুব শিগগির দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায় ক্ষুধা, অপুষ্টি আর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রোগে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরই মধ্যে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে অঞ্চলটিতে ২৭ শিশু ও তিন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছে।

আইপিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নে গাজার জনগণের জন্য মানবিক ও বাণিজ্যিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার উল্লেখযোগ্য ও অবিলম্বে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’ সংস্থাটি বলেছে, সব মিলিয়ে গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতির মুখে এবং প্রায় ৩ লাখ গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments