ইউক্রেনে নতুন করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার দেশটির বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বড় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। এদিকে ভয়াবহ এমন হামলা বন্ধে রাশিয়াকে থামাতে ইউক্রেনের মিত্রদের আবারও প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্স ও কিয়েভ পোস্টের
ইউক্রেন জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ৬০টিরও বেশি ড্রোন ও ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়াবহ হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, হাইড্রোইলেকট্রিক ড্যাম এবং আবাসিক ভবন।
রাশিয়ার চালানো নতুন এ হামলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খারকিভের বাসিন্দারা। এই অঞ্চলের ৭ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুৎহীন। একই অবস্থা ওডেসা এবং দিনিপ্রোপেত্রোভস্কের ৪ লাখ বাসিন্দারও। অন্যদিকে, অন্ধকারে পোলটাভা অঞ্চলের ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ।
রুশ সেনাদের হামলার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হাইড্রোইলেকট্রিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আমাদের নাগরিক এবং অবকাঠামোকে ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এই রাশিয়ান সন্ত্রাসীদের থামাতে হবে বিশ্ববাসীকে।
পরে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় হাইড্রোপাওয়ার সংস্থা জানায়, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে দেশের সবচেয়ে বড় ড্যামে। যা জাপোরিঝিয়াতে অবস্থিত। তবে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলেও ড্যামটিতে কোনো ফাটলের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
এই হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রুশ সেনারা ৬০টিরও বেশি শাহেদ ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব রাশিয়ান সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু স্পষ্টভাবে দেখেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র, শক্তি সরবরাহ লাইন, একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ও সাধারণ আবাসিক ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া সাধারণ মানুষের জীবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। এ সময় তিনি ‘মস্কোর অমানুষদের’ সৃষ্ট হুমকি থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে ইউক্রেনের অংশীদারদের দ্রুত প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানান।