কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবিতে এখন পর্যন্ত ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫) নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সোহেল রানা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুট হন। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের বরাত দিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা দিশেহারা, বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সোহেল রানার পরিবারের কারও মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানতে পেরেছি।
ভৈরব নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রায়সুল রয়েছেন। নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি পর্যটকবাহী ট্রলার ১৬ জন যাত্রীসহ আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে ট্রলারটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এত নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ সময় রুবা নামের এক স্কুলছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগিনাসহ কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন।