যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি পাচ্ছেন সহমর্মিতা ও সমর্থন জোগানো সব বার্তা। এসব বার্তা ছুঁয়ে গেছে কেট এবং তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামকে। কেনসিংটন প্যালেসের মুখপাত্র গতকাল শনিবার এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত শুক্রবার কেট মিডলটন বলেছিলেন যে, গত জানুয়ারিতে তলপেটে অস্ত্রোপচার হয় তার। এরপর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। এখন তাকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে রয়েছেন কেট
সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের ৪২ বছর বয়সী স্ত্রী কেট তার শরীরে ক্যানসার শনাক্তের খবরকে ‘বিশাল ধাক্কা’ বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য এই খবরটি ধাক্কাই বটে। কারণ, কিং চার্লসেরও ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।
গত বুধবার উইন্ডসর প্রাসাদে দাঁড়িয়ে ভিডিও বার্তা দেন কেট। বার্তাটি প্রকাশের পর থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা পাচ্ছেন কেট মিডলটন।
কেনসিংটন প্রসাদের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ এবং বিশ্বজুড়ে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাঠানো সহমর্মী বার্তাগুলো প্রিন্স এবং প্রিন্সেস দুজনকেই ছুঁয়ে গেছে। জনগণের উষ্ণতা ও সমর্থনে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অত্যন্ত অনুপ্রাণিত। এ রকম সময়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁদের অনুরোধের বিষয়টি বুঝতে পারায় তারা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
কেট এর শুক্রবারের ঘোষণা দেখা গেছে গতকাল শনিবারের ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতায়। সাম্প্রতিক সময়ে কেটের স্বাস্থ্য সম্পর্কে যারা নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছিল তাদের সমালোচনাও করা হয়েছে এসব প্রতিবেদনে।
সাধারণ মানুষও কেটের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।
কেনসিংটন প্যালেস পার্কের বাইরে ৬৪ বছর বয়সী আইনজীবী সাইমন ডেভিস বলেন, ‘কেট যে অসাধারণ মর্যাদা দেখিয়েছে এবং রাজপরিবারকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে তা দেখে আমি আশা করছি যে, গণমাধ্যম এখন তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাপ্য গোপনীয়তা এবং সম্মান দেবে।’
আর্ট গ্যালারির মালিক ৫০ বছর বয়সী সারাহ ম্যাকডোনাল্ড-ব্রাউন বলেছেন, ‘কী ঘটছে সে সম্পর্কে তার (কেট) কথা বলা ভালো হয়েছে। কারণ আমি মনে করি, ক্যানসারের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাদের যেতে হয়েছে এটা তাদের সহায়তা করবে।’