স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘অনেকেই বলেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক কীভাবে মারা গেলো। যশোরের চুকনগরে যান, সেখানে একদিনে ২২ হাজার লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মুক্তিকামী ভাইদের কবর দিতে পারিনি, অনেককে পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় কবর দিয়েছি। ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকবো। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। দেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম সফলভাবে অংশ নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ এবং সাবেক সহকারী কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।