দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনেও এগিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নির্বাচিত ৫০ সদস্যের হলফনামা বিশ্লেষণ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলেছে, নির্বাচিতদের মধ্যে ১৩ জন বা ২৬ শতাংশ নারীর পেশা ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সুজন আরও জানায়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে ব্যবসা পেশার পরই রাজনীতি, আটজন। এরপর গৃহিণী ও শিক্ষক পাঁচজন করে, চাকরিজীবী সাত এবং আইনজীবী ও কৃষিজীবী দু’জন করে। এ ছাড়া বাকি আটজন নানা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন শেষে বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানিয়েছিল, ২৯৯ সদস্যের মধ্যে ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। একাদশ সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫০ এমপির মধ্যে বার্ষিক ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় করেন ১০ জন। দু’জন হলফনামায় আয় দেখাননি। বছরে ৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেন ২০ জন, ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করেন ১০ জন, ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫ জন এবং ১ কোটি টাকার বেশি আয় করেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত দু’জন। তাদের মধ্যে শাম্মী আহমেদ ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৭১ ও অপরাজিতা হকের আয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭ টাকা।
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিতদের মধ্যে একজনের বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার কম; অন্যজনের ৫০ লাখ টাকার বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, নির্বাচিত সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোটি টাকার বেশি আয় করলেও, সংরক্ষিত আসনে এ হার ৪। সংরক্ষিত এমপিদের মধ্যে ৩০ জন স্নাতকোত্তর (দু’জন পিএইচডিসহ), ৮ জন স্নাতক, ৪ জন এইচএসসি, ৫ জন এসএসসি ও ৩ জন এসএসসির চেয়ে কম।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংরক্ষিত নারী আসন ইতিবাচক। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে সংরক্ষিত আসনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হলে নারীরা পরবর্তীতে সরাসরি নির্বাচন করে আসতেন। সংরক্ষিত নারী আসনে এখন যোগ্যতার চেয়ে দলীয় প্রধানের অনুগ্রহে মনোনয়ন দেওয়া হয়।