ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সহজের সাইটে একটি টিকিটের বিপরীতে ৫০০ থেকে ৮০০টি হিট পড়ছে। আর সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট উন্মুক্ত হলে প্রথম এক ঘণ্টায় সার্ভারে প্রতি মিনিটে গড়ে ৫০ হাজার টিকিটপ্রত্যাশী সক্রিয় থাকছে।
আজ শুক্রবার রেলসেবা অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহজ ডটকমের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, ঈদ সামনে রেখে গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিন বিক্রি হয় ৮ এপ্রিলের টিকিট। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০ টিকিট অনলাইনে উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৭ হাজার ১৯৪টি বিক্রি হয়ে যায়। এই সময়ে টিকিট খুঁজতে সার্ভারে হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ। আর প্রথম এক ঘণ্টায় হিট পড়ে ২ কোটি।
সে হিসাবে, একটি টিকিটের জন্য গড়ে ৮০৫ বার চেষ্টা করা হয়েছে। আর উন্মুক্ত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় ১৩ হাজার ৮১৯টি টিকিট।
সহজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত সকালে প্রথম এক ঘণ্টায় ঢাকা থেকে আন্তনগর ট্রেনগুলোর জন্যই মানুষ সার্ভারে হিট করে। তবে এই সময়ে পূর্বাঞ্চল বাদে অন্য জায়গার টিকিটও পাওয়া যায়। শুধু যে পশ্চিমাঞ্চলের জন্যই সার্ভারে হিট হচ্ছে এমন না।’
আজ উন্মুক্ত হওয়া আন্তনগর ট্রেনের টিকিটের মধ্যে ঢাকা থেকে ছাড়বে এমন ট্রেনের মোট টিকিট ছিল ৩২ হাজার ৫৮৬ টি। আর সারা বাংলাদেশে টিকিট ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার। এর মধ্যে বেলা ১টা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।
অন্যদিকে বেলা ২টার পর উন্মুক্ত হয় পূর্বাঞ্চলের টিকিট। এই অঞ্চলের টিকিটের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৬৯৬ টি। প্রথম ১৫ মিনিটে বিক্রি হয় ৯ হাজার টিকিট। এই সময় সার্ভারে হিট পড়ে ৯৬ লাখ ৮০ হাজার। আর বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই অঞ্চল মিলিয়ে টিকিট বিক্রি হয় ৩০ হাজার ১৬৫ টি। অন্যদিকে সারা দেশে সব মিলিয়ে টিকিট বিক্রি হয় ৫৫ হাজার ২১৩ টি।
আগামীকাল শনিবার পাওয়া যাবে অগ্রিম ৯ এপ্রিলের টিকিট। এরপর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০,১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করবে রেল।
জানা যায়, ৩ এপ্রিল অনলাইনে টিকিট উন্মুক্ত হলেও বিক্রিতে ছিল ধীর গতি। প্রথম ঘণ্টাতে সার্ভারে হিট পড়েছিল ২০ লাখের মতো। তবে ৫ তারিখের পর থেকেই সার্ভারে হিট বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, এই ঈদে দিন ভেদে ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তনগর ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঈদের সময় আটটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার ট্রেনগুলোর টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি।