Saturday, November 9, 2024
spot_img
Homeশিক্ষাশিক্ষার্থীপ্রতি প্রাথমিকে ব্যয় ১৪ হাজার, মাধ্যমিকে ২৭ হাজার টাকা

শিক্ষার্থীপ্রতি প্রাথমিকে ব্যয় ১৪ হাজার, মাধ্যমিকে ২৭ হাজার টাকা

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর শিক্ষার্থীর ব্যয় না কমে আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গণস্বাক্ষরতা অভিযান। তারা বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আর মাধ্যমিকে এ খরচ ২৭ হাজার টাকার বেশি।

শনিবার (৩০ মার্চ) ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা : মহামারি-উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে গড়ে ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা খরচ হয়। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে খরচ কম। গ্রামে বছরে গড়ে ১০ হাজার ৬৩৭ এবং শহরে ১৮ হাজার ১৩২ টাকা খরচ হয়।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে সহযোগিতা করেছে ক্লিয়ার ও এফসিডিও। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের সদস্য সচিব রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর ব্যয় বেড়েছে স্বীকার করলেও এর প্রকৃত হিসাব নেই বলে প্রতিবেদনের গবেষকরা জানিয়েছেন।

এডুকেশন ওয়াচ প্রতিবেদন-২০২৩ উপস্থাপন করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।

এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে গড়ে খরচ হয় ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এর মধ্যে গ্রামে ২২ হাজার ৯০৯ এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬৬২ টাকা ব্যয় হয়। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ খরচ অন্তত ২০ হাজার ৭১২ টাকা বা ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তুলনামূলক হিসাব করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খরচের বড় অংশই চলে যায় টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে। এছাড়া বাকি খরচ হয় গাইড বইসহ সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী, যাতায়াত, খাবার, শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম), স্কুলের বিভিন্ন ফি এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে।

এডুকেশন ওয়াচ-২০২৩ এর মুখ্য গবেষক ড. মনজুর আহমদ বলেন, ২০২২ সালের পর চার দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রাথমিকে এবং ছয় শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে নেই। সরকারের যে ঝরে পড়ার হিসাব, এটা অনেকাংশে তার অতিরিক্ত। সে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ দ্বিতীয় শ্রেণিতে এত বেশি ঝরে পড়ার কথা না।

খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে খরচ বেড়েছে। প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ খরচ বেড়েছে। খরচ বেশি হচ্ছে কোচিং, টিউশনি ও গাইড বইয়ে। নতুন শিক্ষাক্রমের হিসাব এখনো আসেনি। এর প্রভাব ব্যয়ের ওপর কিছুটা পড়লেও দেখানোর মতো অবস্থা এখনো হয়নি বলে তিনি জানান।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments