আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের, সেটা তো সবারই জানা। মাঠের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই মূলত তকমাটা তারা পেয়েছে। মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও ঘটে অনেক নাটকীয় ঘটনা। ঘটনাবহুল পাকিস্তান দলের সবশেষ সংযোজন বাবর ও শাহিনের অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া ও হারানো।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের তিন সংস্করণেরই নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। বাবরের শূন্যস্থান পূরণে শাহিন শাহ আফ্রিদির কাঁধে তুলে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বভার। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ থেকে শাহিনকে নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছে পাঁচ মাস হতে না হতেই। ৩১ মার্চ সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব ফিরে পান বাবর। বাবরের কাছে নেতৃত্ব হারানোর পর গত রাতে রহস্যময় এক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে গত রাতে দিয়েছেন শাহিন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, ‘কতটা নিষ্ঠুর ও নির্দয় আমি হতে পারি, সেটা দেখতে আমাকে এমন কোনো অবস্থায় ফেলবেন না। আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। কারণ আপনাদের দেখা আপনিই সবচয়ে দয়ালু ও ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ। তবে একবার আমার সীমা ছাড়িয়ে গেলে আপনারা আমাকে এমন কিছু করতে দেখবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেননি।’ স্টোরির ব্যাকগ্রাউন্ডে সিংহের গর্জনের ভিডিও পোস্ট করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার।
শহীদ আফ্রিদি ও শাহিন সম্পর্কে এখন জামাই-শ্বশুর। শাহিনকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অবাকই হয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। কথার সুর পাল্টাতে সময় নেননি শহীদ। মাঠের বাইরের ঘটনা সব ঝেরে ফেলে শাহিন যেন মাঠের পারফরম্যান্সে মনোযোগী হন, সেটাই চাওয়া শ্বশুর আফ্রিদির। পাকিস্তানের এক বেসরকারি টিভিতে শহীদ বলেন, ‘শাহিন আফ্রিদির উচিত ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়া।’
শাহিনের নেতৃত্বে ২০২২, ২০২৩ টানা দুইবার পিএসএল জেতে লাহোর কালান্দার্স। তবে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে তিনি খুবই বিবর্ণ। এ বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন শাহিন। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। শাহিন ৯ উইকেট পেলেও ৮.৯৪ ইকোনমিতে বোলিং করেন। শাহিনের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে শ্বশুর আফ্রিদি বলেন, ‘আমি সব সময় শাহিনকে নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতে চেয়েছি।’ এর আগে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেন শহীদ।