গত বছরের আগস্টে জাতীয় নারী দলের ৩১ ফুটবলারকে বেতনের আওতায় আনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। চার ক্যাটেগরিতে বেতনের অঙ্ক ছিল মাসে ১১ লাখের বেশি। কিন্তু ছয় মাসের চুক্তি অনুযায়ী সেই টাকা দিতে পারছিল না ফেডারেশন। এমনকি বেতন ছাড়াই এবার ছুটিতে গিয়েছেন সাবিনা খাতুন-সানজিদারা।
ফেব্রুয়ারিতে ছয় মাসের চুক্তি শেষ হলেও তা নবায়ন করা তো দূরের কথা, মেয়েদের প্রাপ্য অর্থই দেয়নি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বেতন না পাওয়ায় নারী ফুটবলারদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর সঙ্গে বারবার বিদেশি দলের সঙ্গে ম্যাচ বাতিলের কষ্ট তো আছেই। সব মিলিয়ে ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা কৃষ্ণা রানী সরকার, মনিকা চাকমাদের মন ভালো নেই।
দেশের ফুটবলে সাফল্য এনে দেওয়া মেয়েদের হাতে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দিতে না পেরে বাফুফেও পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। উপায় না পেয়ে ফিফার দ্বারস্থ হয় ফুটবল ফেডারেশন। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে চিঠি চালাচালির পর অবশেষে এলো সুখবর। কেটে গেল দুশ্চিন্তা। ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে সামনে নারী ফুটবল দলের বেতন দেবে বাফুফে। ফিফা থেকে এটার অনুমতিও পেয়েছে তারা।
নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি ছিল ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তা নবায়নের উদ্যোগ নেয়নি বাফুফে। এখন ফিফা থেকে অর্থ খরচের নিশ্চয়তা পাওয়ায় শিগগির সাবিনাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে ফেডারেশন। তবে নতুন চুক্তিতে বেতন বাড়ানোর যে দাবি করেছেন মেয়েরা, তা আপাতত নাকচ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগেরবারের চেয়ে এবার ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মেয়েদের বেতন নিয়ে বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘মেয়েদের বেতনের জন্য আমরা ফিফার কাছে চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির উত্তরটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। ফিফা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা যে বার্ষিক অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দিতে পারব। ফিফার কাছ থেকে সবুজ সংকেত মেলায় আমাদের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে এই ব্যাপারটি।’