করোনা মহামারির কারণে বোর্ড পরীক্ষাগুলোর রুটিন এলোমেলো হয়ে যায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বেশ পিছিয়ে দিতে হয়। তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আবার এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিল মাসেই নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এটা আমরা শুনেছি। তবে বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকলে এর আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি, আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলেই নেওয়া সম্ভব হবে।’
নতুন শিক্ষাক্রম মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত হওয়া নিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বাণিজ্য আছে। বিভিন্ন কোচিং গাইডের একটা বড় ব্যবসা এটা। আমরা মূল্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করছি। সে জন্য সময় লাগছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর গত ২ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) ঘোষণা করে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সময়সূচি আজ রোববার (৩০ জুন) বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালেও ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। আর ২০২২ সালে ৬ নভেম্বর থেকে এবং ২০২১ সালে ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়।