চাপের মুখে বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেছেন সূর্যকুমার যাদব। সূর্যর সেই ক্যাচই ভারতের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্যাচ হয়ে যায়। এমন ক্যাচকে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে কপিল দেবের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ক্যাচের সঙ্গে তুলনা করতে থাকেন।
শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। ওভারের প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার। লং অফে সীমানার ধারে পা আগে দিয়ে ক্যাচ ধরেছেন সূর্য। মাঠের দুই আম্পায়ার ক্রিস গাফানি ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরোর স্মরণাপন্ন হয়েছেন। কেটেলবোরো আউট ঘোষণা করেন মিলারকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ রানে ম্যাচ হারলে সূর্যর এই ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক ডালপালা মেলতে থাকে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সূর্য ক্যাচ ধরার পর যতক্ষণে শূন্যে ছোড়েন, সীমানা দড়িতে তাঁর পা লেগে গেছে।
ভিডিওতে একটা সাদা দাগও দেখা গেছে। তাতে অবশ্য বোঝার উপায় নেই যে দড়িটা আগেই সরানো হয়েছিল কি না। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা হয়েছে সাদা দাগ নয়, দড়িটাকেই সীমানা হিসেবে ধরা হবে। প্লেয়িং কন্ডিশনের ১৯.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সীমানা বোঝাতে শক্ত কোনো কিছু যদি কোনো কারণে সরে যায়, তখন সেটাকে আসল সীমানা বলে ধরে নেওয়া হবে।’ ১৯.৩.২তে বলা হয়েছে, ‘এমনটা হলে আবার যদি খেলা শুরু হয়, তাহলে সেই বলটা ডেড বলে বিবেচিত হবে।’ যদি কোনো কারণে বলটা ছক্কা বা ডেড ঘোষণা করা হতো, তাহলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা জিততেও পারত। সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কেউ একজন লিখেছেন, ‘এটা আরও এক নজর দেখা উচিত ছিল। সীমানার দড়ি কিছুটা হলেও তো নড়েছে।’ কেউ তো সরাসরি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিয়েই কটাক্ষ করেছেন, ‘খুবই কঠিন ফল এটা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দারুণ এক বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলে বিশ্বকাপে সাতবার সেমিফাইনালে আটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কখনো বৃষ্টির বাধা, হিসাব মেলাতে না পারা, ল্যানস ক্লুজনারের খেপাটে দৌড়—১৯৯২ থেকে শুরু করে নানা ঘটনায় শেষ চারেই থেমে যেত প্রোটিয়াদের পথচলা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা অষ্টমবারের চেষ্টায় এবার সেমির ফাড়া কাটিয়েছে। গ্রুপ পর্ব, সুপার এইটে একের পর এক ম্যাচ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা ধরা খেল ফাইনালে এসেই। অন্যদিকে ভারত ১১ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাখরা কাটিয়েছে।