দেশে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা এবং সাগরে লঘুচাপের কারণে গতকাল শনিবার থেকেই বৃষ্টিপাত বেড়েছে সব অঞ্চলে। এই বৃষ্টি টানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, গতকাল ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে এই বৃষ্টি হয়।
এ
দিকে দেশে গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেনীতে, ১১৩ মিলিমিটার ও পঞ্চগড়ে ৯৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া দেশের সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশি বৃষ্টির দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে।
অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টি আরও কয়েক দিন চলবে। সাগরে থাকা লঘুচাপ ইতিমধ্যে স্থলে উঠে এসেছে। তবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে এবং বাতাসের আধিক্য আছে। বিকেলে চট্টগ্রাম উপকূলে ৬৭ কিলোমিটার বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে।
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, সারিগোয়াইনের পানি সমতলে দ্রুত বেড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।