অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার ঝড় উঠেছে। রায়হান রাফীর নির্মিত এই ছবি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ৫ জুলাই। তার আগেই নতুন চর্চা পরিচালককে ঘিরে। ‘পরান’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’-এর পর চতুর্থ ছবিও যেন ব্লকবাস্টার হয় সেই অঙ্ক নাকি ইতোমধ্যেই কষে ফেলেছেন তিনি।
গুঞ্জন উঠেছে, রাফীর পরবর্তী ছবির নায়ক টলিউড সুপারস্টার জিৎ। বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজারে কথা বলেছেন এই পরিচালক। গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় আরও ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। জিৎদা বাংলার সুপারস্টার। তার সঙ্গে কাজ করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে। কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেককেই আমার পছন্দ। তাই এখনই আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করার সময় আসেনি।’
‘তুফান’ দিয়ে টলিপাড়ায় পা রাখলেন রায়হান। প্রথম অভ্যর্থনা কেমন ছিল? রাফী বললেন, ‘খুবই ভালো। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতারা আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং পেশাদার। পাশাপাশি, তারা গুণীদের কদর করেন। ফলে, কাজ করতে এসে কোনও অসুবিধা হয়নি ‘
আর ছবির নায়িকা মিমি চক্রবর্তী? ফোনের ওপারে লাজুক হাসি হেসে বললেন, ‘খুব সুন্দরী। একদম মাটির কাছাকাছি। শুটিংয়ের সময় কোনও বায়না ছিল না তার। কলকাতা যখন ৪৫ ডিগ্রি গরমে ফুটছে, তখনও শাকিব আর মিমির মুখে হাসি! তাদের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা একটুও বুঝতে দেননি আমাকে।’
বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি ভালবাসেন রাফী। সেই ধরনের ছবিই বানান। সে কারণেই কি দুই বাংলার প্রথম সারির তারকাদের নিলেন? পরিচালকের কথায়, ‘আরও কারণ আছে। এক, শাকিব পশ্চিমবঙ্গের অনেক নায়িকার সঙ্গে কাজ করছেন। মিমির সঙ্গে করেননি। তাই তাদের জুটি বানালাম। দুই, দর্শক নতুন জুটি দেখতে খুব ভালবাসে। শাকিব-মিমির জুটি আবারও সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তিন, দু’জনেই দুই বাংলার সেরা অভিনেতা।’
শুটিং করেছেন প্রয়াগরাজ, কলকাতা, বাংলাদেশ মিলিয়ে। রাফীর বক্তব্য, ‘সিনেমা তৈরির সময় কোনও সমঝোতা করিনি। যেখানে যা দরকার সবটাই দিয়েছি।’
সবশেষ এই নির্মাতা অনুরোধ করেন, দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রিকে এক হয়ে কাজ করার। রাফী বলেন, ‘দক্ষিণী দুনিয়া এক জোট হয়ে কাজ করছে বলেই ওদের একের পর এক ছবি বাণিজ্যিক দিক থেকে সফল হচ্ছে।’