টুর্নামেন্টের সেরার দুই দলের বিদায় হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। স্বাগতিক এবং টুর্নামেন্টের অন্যতম হেভিওয়েট দল জার্মানির যাত্রা থেমেছে শেষ আটে। স্পেনের বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের শিরোপা স্বপ্ন। অন্যদিকে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের ইউরো মিশনের ইতি ঘটেছে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারের হারে।
কোয়ার্টার ফাইনালের অপর ব্র্যাকেটে ছিল সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্ক। এই ব্র্যাকেটে দলগুলোর মাঝে সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের। প্রত্যাশা অনুযায়ী তারাই মুখোমুখি হচ্ছে এবারের ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে।
কোয়ার্টার ফাইনালে বড় আর নামী দলগুলো মাঠে নামলেও মাঠের খেলা খুব একটা মন ভরেনি ফুটবল ভক্তদের। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিই গিয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। দুটি ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে। তুরস্ক আর নেদারল্যান্ডস ম্যাচ ছাড়া বাকি তিন ম্যাচে প্রথমার্ধে আসেনি কোনো গোল। এমনকি স্পেন এবং জার্মানি ম্যাচ ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের গতিময়তা চোখে আসেনি।
সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ চার দলের মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ রেকর্ড স্পেনের। টুর্নামেন্টে জার্মানির সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ বার শিরোপা জয়ের রেকর্ড ভাগাভাগি করছে তারা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের আরেক মেজর ট্রফি নেশন্স লিগেও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। এবারের আসরেও অন্যতম সেরা দল তাদের।
বাকি দলগুলোর মাঝে ফ্রান্স চলতি দশকের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে, ২০২২ সালে হয়েছে রানারআপ। তবু, এবারের আসরে দলটি হতাশ করেছে সকলকে। মাত্র একটি গোল করেছে ফ্রেঞ্চ অ্যাটাকাররা। বাকি দুই গোল এসেছে আত্মঘাতী গোল থেকে।
নেদারল্যান্ডস সেমিতে উঠেছে ২০ বছরের অপেক্ষা শেষে। আর ইংল্যান্ড আরও একবার গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে চলে গেল বিগ টুর্নামেন্টের ফাইনালে।
সেমির মঞ্চে যাওয়া চার দলের মধ্যে কেবল ইংল্যান্ডেরই ইউরো জয়ের কীর্তি নেই। স্পেন এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৩ বার শিরোপা জয় করেছে। ফ্রান্স শিরোপার স্বাদ পেয়েছে দুইবার। ১৯৮৪ সালে মিশেল প্লাতিনি আর ২০০০ সালে জিনেদিন জিদান এনে দিয়েছিলেন দুই শিরোপা। আর ১৯৮৮ সালে শিরোপা ঘরে তুলেছিল নেদারল্যান্ডস।