Friday, October 18, 2024
spot_img
Homeজাতীয়বেনজীরের গুলশানের সেই ৪ ফ্ল্যাট ক্রোক

বেনজীরের গুলশানের সেই ৪ ফ্ল্যাট ক্রোক

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তাঁর ছোট মেয়ের নামে গুলশানের র‍্যাংকন আইকন টাওয়ারের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গতকাল রোববার তাঁর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি ক্রোক করা হয়।

আজ সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন  এ তথ্য জানান।

দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো তাঁরা কমিশনে জমা দেবেন।

দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ও গুলশানে বেনজীরের ফ্ল্যাটের রিসিভার মঞ্জুর মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাটের সব মালামাল বুঝে নিয়েছি। ফ্ল্যাটে যা যা পাওয়া গেছে সব জিনিসপত্রের ইভেনটরি করেছি, সেই তালিকা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোক করা এসব সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা জন্য আমাদের নিয়োগ করা হয়েছে। যদি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া যায় তাহলে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।’

গত ৩০ জুন বেনজীর আহমেদের স্ত্রী–কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।

তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেয়নি। তৃতীয়বার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুই দফা সুযোগ থাকে অভিযুক্তদের কাছে। প্রথম দফায় ২১ কর্মদিবস। এই সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফা সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ‘নন সাবমিশন’ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করতে পারবে।

বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে গত ১৮ এপ্রিল দুদক তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমে নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম।

ইতিমধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাঁদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments