মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে কয়েক দিন ধরে কোথাও ভারী, কোথাও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী শুক্রবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়ার আভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শনিবার অধিদপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে (শনিবার) থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কমে যাবে; এ সময় গরমের অস্বস্তিবোধ থাকবে। ১৯ তারিখ (শুক্রবার) থেকে আবার একটি নতুন স্কেল শুরু হয়ে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আস্তে আস্তে করে বাড়তে পারে। মাসজুড়েই বৃষ্টি থাকবে।’
তবে আগামী ১০ দিন সিলেট এবং আশেপাশের এলাকায় প্রতিদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায়; রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে ঢাকায়। এছাড়া নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০৬, ফেনীতে ৯৮, সিলেটে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি ঝরেছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
গতকাল ভারী বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ঢাকার অনেক এলাকা, তাতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। কক্সবাজারের কোথাও কোথাও পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, স্বল্পসময়ে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে এমন হয়। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসও তৈরি হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।