কারফিউ শিথিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে অফিস টাইম শুরু এবং শেষ হওয়ার পর যানজটের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যানজটে আটকে থাকা মানুষের কষ্ট আরও বাড়িছে তীব্র গরম।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে লক্ষ্য করা গেছে যানজট। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল ছিল কারফিউ। বিকেল ৩টার মধ্যেই অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অফিস শেষে কারফিউ শুরুর পূর্বে বাড়ি ফিরতে তাড়া ছিল অনেকেরই।
রাজধানীর মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট, উত্তরা সড়কে গাড়ির চাপ দেখা যায়। তাছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রধান সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ।
কথা হয় বনানী থেকে উত্তরাগামী বেসরকারি চাকরিজীবী রিজওয়ান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় অফিস শেষ হতেই বাসার দিকে রওনা হয়েছি। প্রথমে বাসের জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেক বাসে যাত্রী বেশি থাকায় উঠতে পারিনি। পরে একটি বাসে কোনো রকমে উঠলেও সেটা এখন যানজটে আটকা। বাসায় কখনে পৌঁছাব জানি না।
বেসরকারি চাকরিজীবী নিশাত আহমেদ এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিয়েছেন মগবাজারের উদ্দেশে। তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে খিলক্ষেত-বিশ্বরোড পর্যন্ত যানজট।ভেবেছিলাম কারফিউ শুরু হওয়ার আগেই বাসায় পৌঁছাব। কিন্তু এখন রাস্তার অবস্থা দেখে সেটা সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
বনানী মোড়ে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, গত দুই দিন ধরে অফিস শেষ হওয়ার পরই রাস্তায় গাড়ির ব্যাপক চাপ থাকে। তবে সেটা সন্ধ্যার মধ্যেই কেটে যায়। সন্ধ্যার পর রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানজট সহনীয় মাত্রায় থাকে।