Thursday, September 19, 2024
spot_img
Homeজাতীয়‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিতে যা ঘটল

‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিতে যা ঘটল

সারা দেশে আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশির গুলির ঘটনাও ঘটে।

একনজরে দেখে নিন আজকের উল্লেখযোগ্য ঘটনা–

শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল উত্তরা

সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই ভরে যায় প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়ক। ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ।

dhakapost

বৃষ্টিতে ভিজেই ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আফতাবনগরে শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

বায়তুল মোকাররম মসজিদ : ভুয়া ভুয়া স্লোগানে কওমি শিক্ষার্থীদের মিছিল

জুমার নামাজ শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল করেন কওমি শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পর মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যেতে থাকে। পরে শাহবাগ পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ।

সায়েন্সল্যাবে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল শুরু হয়। জুমার নামাজের পর এ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সরকারবিরোধী এবং ৯ দফার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাদের সহনশীল ভূমিকায় দেখা যায়।

dhakapost

ঢাবি ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সঙ্গে মাঠে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা

দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটায় এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

এর আগে কওমি শিক্ষার্থীর বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাবি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা।

শাহবাগ অবরোধ করলেন শিক্ষার্থীরা

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর সায়েন্সল্যাব মোড়ের অবরোধ ছাড়েন তারা। পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উভয় পাশের যান চলাচল।

dhakapost

শাহবাগ ছেড়ে মিছিল নিয়ে ফের সায়েন্সল্যাবে শিক্ষার্থীরা

বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে শাহবাগ ছেড়ে গণমিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবে যান শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ৩০ মিনিট অবরোধ করে রেখে ফের গণমিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবের দিকে যান তারা।

রোববার গণমিছিলের ডাক, শুরু হবে প্রেস ক্লাব থেকে

বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রায় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও বর্তমান সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে।

dhakapost

উত্তরায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নামপরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচিকে সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেন। বিকেল ৪টার পর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। এসময় পুলিশ, শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

dhakapost

আজই কারামুক্ত হচ্ছেন ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থী

বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৪২ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিননামা দাখিল করেছেন। সেক্ষেত্রে আজই সেই শিক্ষার্থীরা কারামুক্ত হতে পারেন বলে শিক্ষার্থীদের আইনজীবী সাইদুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, আমরা জামিনপ্রাপ্তদের পক্ষে জামিননামা দাখিল করেছি। জামিননামা কারাগারে পৌঁছেছে। আশা করছি, আজকেই সবাই কারামুক্ত হবেন।

শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অসহযোগ

সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।

সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে সারা দেশের মানুষকে অলিগলি ও পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ঢাকার বাইরের ঘটনা

dhakapost

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে ছাত্রলীগকে ধাওয়া

চট্টগ্রামে অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা নগরের ওয়াসা মোড়ে একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও সাঁজোয়া যানে ঢিল ছুড়েন। একই এলাকায় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় তারা বাগমনিরাম গলির দিকে আশ্রয় নেন। সবশেষ বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বহদ্দারহাট মোড়ে অবস্থান নেয়।

শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের ফটক থেকে শুরু হয়। কর্মসূচি উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা আগে মসজিদে এসে জুমার নামাজ আদায় করে। নামাজে খতিব নির্যাতন-নিপীড়নকারীদের ওপর বদদোয়া করলে শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে আমিন বলেন। নামাজ শেষেই শিক্ষার্থীরা বের হন। প্রথমে শিক্ষার্থীদের পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে দেন। প্রথমে মিছিলটি কোতোয়ালি হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়।

সেখানে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়। এরপর মিছিলটি টাইগারপাস এলাকা দিয়ে ওয়াসা মোড়ে পৌঁছে। সেখান পুলিশ থাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। তবে শেষপর্যন্ত সংঘর্ষ হয়নি। পরে পুলিশের সাঁজোয়া যানে ঢিল ছুড়ে শিক্ষার্থীরা। ধাওয়ায় এটি কিছুটা দূরে সরে গেলে শিক্ষার্থীরা ওয়াসা মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। ওইসময় পাশে ছাত্রলীগ অবস্থান করছিল। শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পার্শ্ববর্তী বাগমনিরাম গলির ভেতরে পালিয়ে যান।

dhakapost

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক ও জিরোপয়েন্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীও পুলিশকে লক্ষ্যে করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে। পরে শিক্ষার্থীরা জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

dhakapost

সিলেটে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশকে ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা গেছে।  ইটপাটকেল ছুড়ছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

dhakapost

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ১

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোস্তাক মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকেরবাজার বলে জানা গেছে।

খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে  সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের পাঠানো এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না। কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments