শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে গঠন করা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বঙ্গভবনে শপথ নিতে প্যারিস থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। তাকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এমিরেট্স এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও বিমান এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগমন ঘিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আসুন আমরা আমাদের এই নতুন বিজয়ের সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করি। কোনো প্রকার ভুলের কারণে আমাদের এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়। আমি সবাইকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসতা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র ও দলমত নির্বিশেষে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে।