অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে হাসিনা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট সোমবার তীব্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। তার প্রায় চার দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সরকার গঠনের পরপরই জয়ের তরফ থেকে এই মন্তব্য এল। এই সরকারের অন্যতম দায়িত্ব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আপাতত তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার যখনই সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’ ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমার মা বর্তমান মেয়াদের পরে রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন।’
নিজের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয় বলেন, ‘আমার কখনোই কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েক দিনের ঘটনাবলি প্রমাণ করে যে সেখানে নেতৃত্বের শূন্যতা রয়েছে। দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি সামনের সারিতে আছি এখন।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর গত সোমবার ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁকে ৪৫ মিনিটের আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
এ ছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।