গত সপ্তাহেই রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, তাঁর বাহিনী কুরস্কের অন্তত ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। সোমবার রাতে বিবিসির একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল অলেক্সান্ডার সিরস্কি জানিয়েছেন, তাদের সামরিক অভিযানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। টেলিগ্রামে প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে এই ঘোষণা দেন তিনি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে কুরস্ক অঞ্চল থেকে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে ‘পরিস্থিতি খুব কঠিন’ উল্লেখ করে কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বাহিনী ওই অঞ্চলের ২৮টি গ্রাম এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখনো ২ হাজার রুশ নাগরিক রয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো অজানা।
ইউক্রেনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে কয়েক হাজার সেনা অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত এটিই রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের বাহিনীর সবচেয়ে বড় সমন্বিত আক্রমণ।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডেকেছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হলো শত্রুকে আমাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।’
পুতিন মত দেন, ইউক্রেনের এমন আক্রমণের কারণ হলো আলোচনার টেবিলে তাদের অবস্থানকে একটু উন্নত করা।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেন যোগ্য জবাব পাবে।’