একজন জাতীয় দলে আছেন দেড় দশকের মত। আরেকজনের অভিষেক ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে চিত্র ছিল এমন। তবে দুজনের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল, দুজনেই যেন একে অন্যের খুব চেনা। সিলেটে গতকালের (সোমবার) ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলি অনিকের জুটি বাংলাদেশকে দিয়েছিল জয়ের স্বপ্ন।
লঙ্কানদের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে টাইগাররা থামে ২০৩ রানে। তবে ম্যাচে আলো কেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলি অনিক জুটি। চার উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নামেন জাকের। রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ২৯ বলে ৪৭ রানের জুটি। বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা বেড়েছিল ওই জুটির সুবাদেই।
ব্যাট করতে করতে মাঠে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কি কথা হয়েছিল সেই বিষয়ে অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে জাকের বলেন, ‘যখন ব্যাটিংয়ে যাই, ক্রিজে রিয়াদ ভাই ছিল। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে বলেছেন। ওরকমই চেষ্টা করেছি যেরকম আমি সচরাচর খেলি। বাড়তি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রিয়াদ ভাই ঝুঁকি নিয়ে কিছু বাউন্ডারি বের করলে আমার কাজ সহজ হয়ে যায়।’
‘দুজনেরই এরকম পরিকল্পনা ছিল। রিয়াদ ভাই চান্স নিচ্ছিল, তখন আমারও পরিকল্পনা ছিল এক ওভারে কীভাবে ১০-১২ রান বের করা যায়। রিয়াদ ভাই থাকলেও আমি আমার ভূমিকাটা এরকমই রাখতাম। উনি চলে যাওয়ার পর আমি গিয়ার শিফট করিনি।’-যোগ করেন জাকের।
জাকেরের আক্ষেপ ম্যাচ জিততে না পারার, ‘যদি ম্যাচ জিততে পারতাম, তাহলে ১০-১২ রান করলেও বেশি খুশি লাগত। ভালো খেলেছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা যা দিয়েছেন। তবে ম্যাচ জেতাতে পারলে হয়ত আরও বেশি খুশি হতাম।’
জাতীয় দলে খেলা নিয়ে জাকের বলেন, ‘আমি সবাইকেই বলতাম, আল্লাহতায়ালা যখন আমার জাতীয় দলে খেলার সময় লিখে রেখেছেন আমি তখন এমনিতেই খেলতে পারব। এটাই। আমার সুযোগ এসেছে। মানসিকভাবেও প্রস্তুত ছিলাম। আলিসের যখন ইঞ্জুরি হলো। প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। শান্ত আমার সাথে কথা বলেছিল যে তোর কিন্তু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকিস। আমার সাথে আগেই কথা হয়েছিল। তো আমি প্রস্তুত ছিলাম।’