ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বিগত কয়েক মাস ধরেই। এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশটি। এই চুক্তির আওতায় চীন মালদ্বীপকে বিনা মূল্যে সামরিক সহায়তা দেবে। গতকাল সোমবার দুই মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দুই দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসসান মামুন ও চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা বিভাগের উপপরিচালক মেজর জেনারেল জং বাওচন।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক্সে লিখেছে, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসসান মামুন ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহায়তা বিভাগের উপপরিচালক মেজর জেনারেল জং বাওচন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রকে বিনা মূল্যে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।’ তবে চীন কি ধরনের সহায়তা দেবে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি মালে।
এদিকে, মালদ্বীপকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১২টি পরিবেশবান্ধব অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে চীন। গত রোববার মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো হস্তান্তর করা হয় চীনের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং লিজিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপ সরকারের তথ্য অনুসারে দেশটিতে এখনো ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়ে গেছে। এই সেনারা মূলত দেশটিতে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমান পরিচালনা করেন। ভারতের দাবি, এই হেলিকপ্টার ও বিমান মূলত চিকিৎসা সেবা ও জরুরি অবস্থায় সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো।
এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছিল, মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যকার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠকের পর সেনা প্রত্যাহারের কাজটি সমাধা করতে একটি কোর গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।