বছর পাঁচেক পর পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের গান শুনিয়ে এলেন নগর বাউল জেমস। ৩ মার্চ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তাঁর এ কনসার্ট নিয়ে ওপারে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণত সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন না জেমস, তবে এ শো উপলক্ষে একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেসব আলাপচারিতায় উঠে এসেছে জেমসের শুরুর দিনগুলো, তাঁর সংগীতভাবনা, বলিউড অধ্যায় থেকে আইয়ুব বাচ্চু প্রসঙ্গ। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য দিয়েছেন পরামর্শ।
ইদানীং আপনাকে গামছা প্রিন্টের টুপিতে দেখা যাচ্ছে। এটা কি নতুন সংযোজন?
চুল উঠে যাচ্ছে তাই। কী আর করা।
প্রথম ব্যান্ড ফিলিংস আজও আপনার মনের গভীরে রয়েছে কি না?
ওটা শুরু ছিল। ওটা একটা শেখার সময় ছিল। তখন আমরা কাভার মিউজিক করতাম। ক্লাবে বাজাতাম।
রক গান কি শুধুই নতুন প্রজন্ম শুনছে?
নতুন প্রজন্ম বলা যাবে না, বলতে হবে ইয়াং জেনারেশন। আমার মনে হয়, রকটা তারা (বেশি শোনে)। তবে এখন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এখন আমার বয়সী মানুষকেও দেখি মাঝে মাঝে (কনসার্টে)। যখন আমরা শুরু করেছিলাম, তখন তারা ইয়াং ছিল। মাঝে মাঝে তারা অতীতকে মনে করার জন্য আসে।
বলিউডে আর গাইলেন না কেন? মাতৃভূমি ছেড়ে থাকতে হবে বলে?
এটা একটা কারণ। তবে আরেকটা কারণও আছে। যে সময়, যে বয়সে আমাকে ডাকা হয়েছিল (বলিউডে), তখন (হিন্দি ভাষা নিয়ে) আরও চর্চা করা বা ওই এনার্জিটা ছিল না। আমি ফ্রি ফর্ম মিউজিক করি। বলিউডে মিউজিক করতে হলে তোমাকে সেইভাবে প্রিপার করতে হবে নিজেকে।
কলকাতার কোন শিল্পীদের পছন্দ করেন?
ফসিলসের রূপম ইসলাম অনেক প্রিয়। চন্দ্রবিন্দু শোনা হয়েছে। আরও আগে কবীর সুমন ও অঞ্জন দত্তের গান শুনেছি। এ রকম অনেকে আছে।
তারপর বাংলাদেশে আজম খান, আইয়ুব বাচ্চু। মাকসুদ আছে। মাইলস আছে। ইন্সপিরেশন এসেছে এদের কাছ থেকে।
প্রেম নাকি বিরহ?
প্রেম না থাকলে তো গান হবে না। প্রেম থাকতেই হবে। প্রেম ছাড়া সংগীত বা কোনো সৃষ্টি হতেই পারে না।
প্রয়াত রকতারকা আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?
উনার ব্যাপারটা আমি আলোচনা করতে চাই না। কারণ উনি এখনো জীবিত আমার কাছে। আমার মনে হয়, হয়তো সন্ধ্যায় আবার উনি ফোন দিয়ে বসবেন। আমি চাই-ই না ওই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে যে উনি নাই। এটা আমাকে ডিস্টার্ব করে।
নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
জাস্ট গান করে যেতে হবে। লাইভ করো, মঞ্চ, মঞ্চ এবং মঞ্চ..