চট্টগ্রামে ফ্রেশ উইকেটে দ্রুত রান ওঠে। ওই চিন্তায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে লাভও হয়েছিল লঙ্কানদের। তবে বাংলাদেশের পেসত্রয়ীতে কামব্যাক করে দল। নাগালের মধ্যে আটকেও রাখে তাদের। তবে জয়ের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ওই দলকে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্তর। ক্রিজে অভিজ্ঞ মুশফিকের অসাধারণ সঙ্গও পেয়েছেন তিনি।
বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে পাথুন নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো জুটি দশ ওভারেই ৭১ রান তুলে ফেলে। ওই জুটি ভাঙেন তরুণ পেসার তানজিম সাকিব। এক ওভারের ব্যবধানে আভিস্কা (৩৩) ও নিশাঙ্কাকে (৩৬) তুলে নেন তিনি। ৮৪ রানে লঙ্কান শিবিরে তৃতীয় ধাক্কাও দেন তানজিম। সেখান থেকে কুশল মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগে ভালো জুটি দেন।
ওই জুটিতে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৫৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন লিয়ানাগে। ৬৯ বলের ইনিংস তিনি দুটি ছক্কা ও তিনটি চারের শটে সাজান। মেন্ডিস ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া আশালঙ্কা ১৮ ও হাসারাঙ্গা ১৩ রান যোগ করেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস ইনিংসের প্রথম বলেই বাজেভাবে প্লেড অন হন। সৌম্য সরকারও (৩) অফের বাইরের বাউন্স লেন্থের বলে লেগ সাইটে পুল খেলে ৩০ গজের ভেতরে ক্যাচ দেন। চারে ব্যাটিংয়ে নেমে তাওহীদ হৃদয় ৩ রান করে বোল্ড হন। সেখান থেকে অধিনায়ক শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ ৬৯ রানের জুটি দেন। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান ৩৭ রান করে।
বাকি পথটা দারুণ দক্ষতায় পাড়ি দিয়েছেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দলকে জেতাতে শান্ত খেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা ১২২ রানের ইনিংস। তার ১২৯ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ১৩টি চার ও দুটি ছক্কার শটে। মুশফিকের সঙ্গে শান্তর ১৬৫ রানের দুর্দান্ত জুটি হয়। যেখানে মুশফিকের অবদান ৮৪ বলে ৭৩ রান। মুশফিক আটটি চারের শট খেলেন। শান্ত ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৭ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষ ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম সাকিব তিনটি করে উইকেট নেন। অন্য উইকেটটি নেন মেহেদী মিরাজ। শ্রীলঙ্কার হয়ে দিলশান মাদুশঙ্কা দুটি এবং প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমরা একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন অধিনায়ক শান্ত।