বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে নিম্নমানের খেজুর উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ১১ মার্চ সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত ইস্যুকৃত চিঠিতে বিবরণে নিম্নমানের খেজুর শব্দটি উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয়। পরে আজ এ বিষয়ে ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাঁদের বলেছিলাম, স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করতে। যেহেতু তাঁরা গড়িমসি করছিল, আমরা চাচ্ছিলাম পয়লা রমজান থেকে। তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সে জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কনটিনিউ করতে চাই। এর মধ্যে আমাদের ছোট খাটো ভুলত্রুটি হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সব সময় বলি অ্যাফোর্টগুলোকে যেন একটু হাইলাইট করা হয়। যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয়, তাহলে চলে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলব যে বড়ই ভুল। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর-এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামানসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।