বঙ্গবন্ধু চিরদিন অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ। তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজকে তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। আমাদের সব সংকটে, চলার পথে পাথেয়। তিনি বাঙালির দুঃখের একমাত্র বাতিঘর।’
আজ রোববার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা স্বাধীনতা এনে দিতে টুঙ্গিপাড়ার এক বীর প্রসূতি মা যাকে জন্ম দিয়ে ধন্য করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রথম বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাধীন সত্তা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কি না সন্দেহ, যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি বেঁচে না থাকলেও তাঁর উত্তরাধিকারের কোনো দিন মৃত্যু হবে না। তাঁর উত্তরাধিকার সারা জীবন বেঁচে থাকবে। এই লিগ্যাসি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে আমরা শপথ নিই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবিরাম লড়াই করে যাব। আজকে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। আমরা সেই বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অভিমুখে আমাদের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি নেতারা ‘ভারতের সহযোগিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছে’ বলে যে অভিযোগ করছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যখন দেশে-বিদেশে শত্রুতা, নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র, তখন ভারত স্ট্রংলি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি সে কথা বলেছি।’
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
এরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।