৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। জাটকা ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের মেঘনার নদীর শাখা থেকে জাটকা মাছসহ ৬ জনকে আটক করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ মাছ নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গরিব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে থাকে। দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন করে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সখিপুরের নরসিংহপুর নৌ পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বরিশালের অরাকুল মাছঘাট থেকে দুইটি নৌকাযোগে জাটকা ইলিশ পরিবহন করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে নৌপুলিশ কুচাইপট্টির সাতপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করে। এ সময় জাটকা পরিবহন করা ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে।
জাটকা ইলিশ মাছ পরিবহন করতে গিয়ে আটককৃতরা হলেন, বরিশালের হিজলা থানার আব্দুর রশিদ মাঝির ছেলে শরীফ মাঝি, আবুল হোসেন মাঝির ছেলে শাহিন মাঝি, মুকবুল আহমেদ সরদারের ছেলে আনিছ সরদার ও ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আবু তাহের ডাক্তারের ছেলে মো. সাগর। বাকি দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গোপনের সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাইপট্টি জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নদী পথে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। পরে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের মুচলেকা নেওয়া হবে। বাকিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। জব্দকৃত জাটকা মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। জাটকা ইলিশ মাছ নিধনবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।