পচনশীল পণ্য আমদানি বাণিজ্যে অনিয়ম, হয়রানির অভিযোগে বেনাপোল বন্দরে অবস্থান ধর্মঘট করেছে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। পরে দ্রুত খালাসের আশ্বাসে চার ঘণ্টা পর আবারও আমদানি করা কাঁচামাল বন্দরে প্রবেশ শুরু করে।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আমদানি-রফতানি গেটে বাংলাদেশি সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারককরা অবস্থান ধর্মঘট করে। এসময় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই বন্দরে কয়েকশ ট্রাক আটকা পড়ে।
পরে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস কার্যক্রম দ্রুত করা হবে আশ্বাস দিলে চার ঘণ্টা পর দুপুর ১টা থেকে পুনরায় আমদানির কাঁচামাল প্রবেশের অনুমতি পায় পণ্যবাহী ট্রাক।
এসময় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদানি করা পচনশীল পণ্য বন্দর থেকে আগে খালাস হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিনিয়ত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অন্যান্য পণ্য খালাস করে কাঁচা পণ্য খালাসে ধীরগতির সৃষ্টি করে। ফলে আমদানি করা পচনশীল পণ্যের ট্রাক সময় মতো বাংলাদেশে পাঠায় না। আবার সন্ধ্যার পর কাস্টমস মাল খালাস দেন না। পরের দিন সকালে খালাস নিতে হয়। ফলে পঁচে নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা মালামাল। যে কারণে চরম লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এভাবে বছরের পর বছর চলে আসলেও বিষয়টি কোনোভাবে সুরাহা না হওয়ায় পচনশীল পণ্য আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, রমজানে পচনশীল পণ্য দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে। ভারত সরকার স্লট বুকিংয়ের নামে ট্রাক প্রতি ১০ হাজার রুপিও নিচ্ছে। তবে কোনো বৈধ সুবিধা ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না। এতে চাহিদা মত পণ্য আমদানি ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট ডেকেছিলাম। ফলে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস পাওয়ায় ধর্মঘট তুলে নিয়েছি।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, সরকার ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচলের কথা বললেও বেনাপোল কাস্টমস সন্ধ্যা ৬টার পর পঁচনশীল পণ্য খালাস করে না। এতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাধ্য হয়ে এ অবস্থা থেকে বের হতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। অবশেষে পচনশীল বা কাঁচা পণ্য দ্রুত খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় ধর্মঘট তুলে নেন ব্যবসায়ীরা।