বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে নেমেছে দলটির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বুধবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জোটের নেতা-কর্মীরা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি-সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘সরকার গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে সামনে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।’ মিছিলের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দিলেও কার্যত তিনি কারাবন্দী। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবিলম্বে বিদেশে তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।’
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতা স্মারকসমূহ বাতিলের দাবি জানিয়ে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘এই অসম সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। রেল ট্রানজিটের নামে কার্যত ভারতকে করিডর দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে দেশের স্বার্থবিরোধী এসব চুক্তি বাতিল করতে হবে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তাতে সমর্থন জানানো হয় সমাবেশে।
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মওলা চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়