এস আলম গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাজার-হাজার কোটি টাকার বেনামি ঋণসহ বিভিন্ন অনিয়মে সহায়তার দায়ে অভিযুক্তদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আরও তিন ডেপুটি গভর্নর, হেড অফ বিএফআইইউ ও নীতি উপদেষ্টার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক কাজের জন্য আপাতত দায়িত্বে থাকবেন নূরুন নাহার।
এদিকে কর্মকর্তাদের দাবি অবিলম্ব গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সব ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ ও বিচার করতে হবে। তারা যেন দেশ ছাড়তে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব নির্বাহী পরিচালক অনিয়মে সহায়তা করেছে তাদেরও বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
জানা গেছে, কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষ ঘিরে রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বিক্ষোভে জেরে এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ক্ষমা চেয়ে ব্যাংক থেকে পালিয়েছেন। বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও অফিস ত্যাগ করেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাহী পরিচালকরা বৈঠকে বসেছেন।
গতকালের মতো আজ বুধবারও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অফিসে আসেননি। গতকাল রাতে তার দেশ ছেড়ে পালানোর গুঞ্জন শোনা গেলেও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর থেকেই তিনি গভর্নর ভবন থেকে সটকে পড়েন।
কাজী ছাইদুর রহমান ছাড়া অন্য তিন ডেপুটি গভর্নর হলেন- নূরুন নাহার, খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান।