আগামী মাসেই পাকিস্তানের বর্তমান শাহবাজ শরীফের জোট সরকার কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিবে। কারণ কেয়ারটেকার সরকার আগামী ৩ মাসের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কিংবা তার দল অংশ নিতে পারবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলাচ্ছে পাকিস্তানের রাজনীতির।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরদ্দে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন সোমবার জামিন অযোগ্য এই পরোয়ানা জারি করেছে।
সোমবার অবশ্য অপর একটি মামলায় ইমরান খানকে জামিন দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইসলামাবাদে নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে বলা হয়, ইমরান খান নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেননি এবং ইতোপূর্বে নোটিশ ও জামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলেও তিনি তাতে হাজির হননি।
ইমরান খানের আইনি দলের এক সদস্য ওয়ারেন্টের একটি কপি সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ইমরান খান ২৫ জুলাই আদালতে হাজির হবেন।
নির্বাচন কমিশন ইসলামাবাদের পুলিশের মহাপরিদর্শককে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে তাকে নির্বাচন কমিশনে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে।
এই নোটিশ পাওয়ার সামান্য পরই ইউটিউবে ইমরান খান বলেন, তিনি ‘কারাগারে যেতে প্রস্তুত।’ সূত্র : আল জাজিরা