তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার ও অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। দেশটির কাছে ই-মেইলে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এ কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাই আমরা। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমনটা হয়।
ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতের পেছনে মার্কিন সরকারের হাত রয়েছে– এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়। সেই সঙ্গে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক। তখনই লাহোরের বাসভবন জামার্ন পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একে পূর্বনির্ধারিত রায় অ্যাখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি।
পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে তার সমর্থকরা। তবে রাজধানী ইসলামাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয় আগে থেকেই। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে শাহবাজ শরিফ সরকার।
গত মার্চে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন পান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফৌজদারি মামলায় দণ্ড ও সাজা কার্যকর হলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান।
সূত্র: জিও নিউজ